সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি হামলা কেড়ে নিলো দুই যমজ শিশুর প্রাণ

রানিয়া আবু আনজা। বিয়ের পর প্রায় ১০ বছর ছিলেন নিঃসন্তান। দুইবার আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তৃতীয়বারের চেষ্টায় কোল আলো করে আসে ফুটফুটে দুই যমজ উইসাম আর নাঈম। তবে কে জানতো; এই সন্তানদের শেষ রক্ষা করতে পারবেন না তিনি? কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাত্র পাঁচ মাস বয়সে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারায় দুই শিশু। ঘুমের মধ্যেই মায়ের কোলে মৃত্যু হয় তাদের। বাদ যায়নি, পাশে থাকা স্বামীও। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফায় গেলো শনিবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে তাদের আবাস লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। মুহূর্তেই ধসে পড়ে গোটা বাড়ি। দুই সন্তান আর স্বামী ছাড়াও নিহত হন রানিয়ার পরিবারের আরও ১১ সদস্য। হারানো সন্তানদের কাপড় বুকে নিয়ে বিরামহীন চলছে মা রানিয়ার আর্তনাদ।

নিহত যমজ শিশুর মা রানিয়া আবু আনজা বলেছেন, “আমার এখন আর কেউ থাকলো না। তাদের কি দোষ ছিল? ঘুমের মাঝেই বাবার সাথে চলে গেছে তারা। তিনিই সন্তানদের নাম দিয়েছিলেন। এগুলো আমার বাচ্চাদের কাপড়। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো?”

এই ভবনে বসবাস ছিলো আনজা পরিবারের ৩৫ জনের। নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই শিশু, আর নারী ৪ জন। গর্ভবতীও ছিলেন একজন। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন ৯ স্বজন।

কালের চিঠি / আলিফ

জনপ্রিয়

সরকার পরিবর্তনের জন্য এটি একটি সুযোগ: ইরানের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি

গাজায় ইসরায়েলি হামলা কেড়ে নিলো দুই যমজ শিশুর প্রাণ

প্রকাশের সময়: ০৪:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

রানিয়া আবু আনজা। বিয়ের পর প্রায় ১০ বছর ছিলেন নিঃসন্তান। দুইবার আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তৃতীয়বারের চেষ্টায় কোল আলো করে আসে ফুটফুটে দুই যমজ উইসাম আর নাঈম। তবে কে জানতো; এই সন্তানদের শেষ রক্ষা করতে পারবেন না তিনি? কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাত্র পাঁচ মাস বয়সে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারায় দুই শিশু। ঘুমের মধ্যেই মায়ের কোলে মৃত্যু হয় তাদের। বাদ যায়নি, পাশে থাকা স্বামীও। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাফায় গেলো শনিবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে তাদের আবাস লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। মুহূর্তেই ধসে পড়ে গোটা বাড়ি। দুই সন্তান আর স্বামী ছাড়াও নিহত হন রানিয়ার পরিবারের আরও ১১ সদস্য। হারানো সন্তানদের কাপড় বুকে নিয়ে বিরামহীন চলছে মা রানিয়ার আর্তনাদ।

নিহত যমজ শিশুর মা রানিয়া আবু আনজা বলেছেন, “আমার এখন আর কেউ থাকলো না। তাদের কি দোষ ছিল? ঘুমের মাঝেই বাবার সাথে চলে গেছে তারা। তিনিই সন্তানদের নাম দিয়েছিলেন। এগুলো আমার বাচ্চাদের কাপড়। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো?”

এই ভবনে বসবাস ছিলো আনজা পরিবারের ৩৫ জনের। নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জনই শিশু, আর নারী ৪ জন। গর্ভবতীও ছিলেন একজন। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছেন ৯ স্বজন।

কালের চিঠি / আলিফ