বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগন্জে শিক্ষকের গুলিতে শিক্ষার্থী আহত

 

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে রায়হান শরীফ নামে এক শিক্ষকের গুলিতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, অভিযুক্ত রায়হান শরীফ কমিউনিটি মেডিসিন লেকচারার। শিক্ষক রায়হান ক্লাস নেয়ার সময়ে টেবিলের ওপর তার পিস্তলটি রেখে দিতেন এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

গত তিন মাস ধরে ওই শিক্ষক এমনটা করতেন বলে এক শিক্ষার্থী জানান, হাতে বন্দুক-ছুরি নিয়ে ক্লাসে আসতেন তিনি। আজ আমাদের একটি পরীক্ষা ছিল। তিনি এসে বলেছেন, আজ যদি কেউ একটা শব্দ মিস করো, তাহলে তাকে আমি শ্যুট করব। তার বন্দুক ব্যাগের ভেতর ছিল। ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে ট্রিগারে গুলি ভরার পর আমার দিকে ধরলো।

ওই শিক্ষার্থী জানান, আমি উত্তর দিতে পেরেছি বিধায় আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। তারপর ছেলেরা ঢুকেছে স্যারের রুমে। যাকে গুলি করা হয়েছে, আজ সকালে ক্লাসে তাকে ‘দেখে নেয়া’র কথা বলেছিলেন স্যার। স্যার শুরু থেকে তাকে টার্গেট করেছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক রোজ ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এসময় আরাফাত আমিন গুলিতে আহত হন বলে জানান তিনি।

কালের চিঠি / আলিফ

Tag :
Popular Post

সিরাজগন্জে শিক্ষকের গুলিতে শিক্ষার্থী আহত

Update Time : ০৪:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

 

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে রায়হান শরীফ নামে এক শিক্ষকের গুলিতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ওই মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, অভিযুক্ত রায়হান শরীফ কমিউনিটি মেডিসিন লেকচারার। শিক্ষক রায়হান ক্লাস নেয়ার সময়ে টেবিলের ওপর তার পিস্তলটি রেখে দিতেন এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করতেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

গত তিন মাস ধরে ওই শিক্ষক এমনটা করতেন বলে এক শিক্ষার্থী জানান, হাতে বন্দুক-ছুরি নিয়ে ক্লাসে আসতেন তিনি। আজ আমাদের একটি পরীক্ষা ছিল। তিনি এসে বলেছেন, আজ যদি কেউ একটা শব্দ মিস করো, তাহলে তাকে আমি শ্যুট করব। তার বন্দুক ব্যাগের ভেতর ছিল। ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে ট্রিগারে গুলি ভরার পর আমার দিকে ধরলো।

ওই শিক্ষার্থী জানান, আমি উত্তর দিতে পেরেছি বিধায় আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। তারপর ছেলেরা ঢুকেছে স্যারের রুমে। যাকে গুলি করা হয়েছে, আজ সকালে ক্লাসে তাকে ‘দেখে নেয়া’র কথা বলেছিলেন স্যার। স্যার শুরু থেকে তাকে টার্গেট করেছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক রোজ ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এসময় আরাফাত আমিন গুলিতে আহত হন বলে জানান তিনি।

কালের চিঠি / আলিফ