বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষনচেষ্টায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে অপসারণ

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ৫৪৮ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে বিকেল চারটায় শুরু হওয়া সিন্ডিকেট সভা শেষ হয় রাত পৌনে ১০টায়।

দুই সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সুপারিশের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে নিজ বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে (১৭-১৮) সেশনের এক শিক্ষার্থী চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তিনি স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণেরচেষ্টা করেন।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

জনপ্রিয়

উদাখালীতে চাল বিতরণে অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদ

ধর্ষনচেষ্টায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনকে অপসারণ

প্রকাশের সময়: ০৮:২২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত ৫৪৮ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও মোহাম্মদ আলী।উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে বিকেল চারটায় শুরু হওয়া সিন্ডিকেট সভা শেষ হয় রাত পৌনে ১০টায়।

দুই সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সুপারিশের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে নিজ বিভাগের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে (১৭-১৮) সেশনের এক শিক্ষার্থী চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে তিনি স্নাতকোত্তরের থিসিস করছেন। থিসিস শুরু হওয়ার পর থেকেই অধ্যাপক তাকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করছেন। ৬ জানুয়ারি গবেষণাগারে তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণেরচেষ্টা করেন।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।