শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা নয় শুধু, বারো ঋতুতেই যেমন ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়া জরুরি। তেমনি প্রয়োজন ঠোঁটের যত্ন নেয়া। অনেকেরই ঠোঁট কালচে হয়। সাধারণত ধূমপান করলে ঠোঁট কালচে হয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন যারা কোনো ধূমপান না করলেও তাদের ঠোঁট কালচে। এ জন্য অবশ্য নানা চেষ্টা করা হয় কালচেভাব দূর করার জন্য।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ শট পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুষ্কতার কারণেও ঠোঁট কালচে হয়ে তাকে। এছাড়া নিয়মিত যত্ন না নেয়াসহ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এবার তাহলে ঠোঁট কালো হওয়ার কারণগুলো জেনে নেয়া যাক।
ধূমপান: ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্ষতি করে না। আপনি যদি নিয়মিত ধূমপান করেন তাহলে অধূমপায়ীদের থেকে তুলনামূলক আপনার ঠোঁট বেশি কালো হতে পারে।
লিপস্টিক বা জেল থেকে অ্যালার্জি: ঠোঁটের যত্নের জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী যেমন লিপস্টিক, গ্লস, বাম বা জেল ব্যবহার করেন। কিন্তু এসব প্রসাধনী অনেক সময় উপকারের থেকে বেশি খারাপ দিক বয়ে আনে। এসব প্রসাধনীতে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে। সেসব রাসায়কি ঠোঁটে হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী হতে পারে।
মেন্থল বা লবঙ্গযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার: মেন্থল বা লবঙ্গযুক্ত পেস্ট ব্যবহারের সময় ঠোঁটের সংস্পর্শে আসলে স্বাভাবিকভাবেই ঠোঁটের ত্বকে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আপনি অধূমপায়ী হলে ও ঠোঁটে জেল ব্যবহার না করলেও পেস্ট থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
ঠোঁট কামড়ানো: অনেক সময় ঠোঁট কালচে বা বিশ্রি হওয়ার পেছনে নিজেরাই কারণ হয়ে থাকি। ঠোঁট চাটা বা কামড়ানো অভ্যাস খুবই খারাপ। এ থেকে ঠোঁট আরও খারাপ হতে পারে এবং হাইপারপিগমেন্টেড হতে পারে ঠোঁট। পাশাপাশি ঠোঁট কামড়ানোর কারণে ঠোঁট ফাটা ও শুষ্ক হয়ে থাকে।
সুগন্ধিযুক্ত জেল ব্যবহার: অনেকেই পছন্দের সুগন্ধিযুক্ত জেল ব্যবহার করেন ঠোঁটে। এসব জেল ব্যবহার না করাই ভালো। বিশেষ করে আপনার যদি পিগমেন্টেড ঠোঁট থাকে তাহলে এড়িয়ে চলাই ভালো।
নিম্নমানের প্রসাধনী ব্যবহার: অনেকেই ঠোঁটের যত্নে হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন সহজলভ্য প্রসাধনী ব্যবহার করেন। যা কখনোই উচিত নয়। আবার কেউ ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করেন। এটি আপনার ঠোঁটকে শুস্ক করতে পারে এবং মুখের চারপাশে প্রাকৃতিক তেল শোষণ করতে পারে। একই সঙ্গে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ড্রাগ অ্যালার্জি: অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন শারীরিক জটিলতার কারণে। অনেক সময় ওষুধ সেবনের কারণেও ঠোঁট কালচে হয়। যদি ওষুধ সেবন বন্ধ করার পর ঠোঁট কালচে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ঠোঁট কালচে হলে প্রথমেই কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে আপনাকে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছেও যেতে পারেন। এছাড়া ঘরোয়াভাবে ঠোঁটের যত্নে এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার কালো দাগ ও পিগমেন্টেইশন হ্রাস করে।
প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে আর্দ্র থাকা সম্ভব। ধীরে ধীরে এক্সফলিয়েট মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে। এতে ধীরে ধীরে দাগ কমবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুষম খাবার রাখতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে।
কালের চিঠি/ আলিফ
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi