১৯৮৬ থেকে বিশ্বকাপের নিয়মিত দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ান কাপ জিততে ব্যর্থ। এই দুর্নাম ঘোচানোর সুযোগ আরেকবার পেয়েছিল তারা। কিন্তু জর্ডানের সংগে সেমিফাইনালে পেরে উঠলো না। প্রথমবার সেমিফাইনালে ওঠা ‘ভদ্র বেদুইনরা’ ২-০ গোলে কোরিয়ানদের হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে জর্ডান। দলের হয়ে গোল দুটি করেন ইয়াজান আল নাইমাত ও মুসা আল তামারি।
গতকাল কোরিয়া দুই গোল হজমের পরও ভক্তসমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল তারা ম্যাচে ফিরবে। কারণ, কোরিয়া অধিকাংশ খেলার শেষ দিকে এসে গোল করে। এমন ঘটনা তাদের অহরহ। তবে এই ম্যাচে সেটি হতে দেয়নি জর্ডানের রক্ষণভাগ। গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কোরিয়ানদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে জর্ডান।
এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে জর্ডান। শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে তারা মুখোমুখি হবে ইরান অথবা কাতারের। বর্তমানে কাতার এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন।
চলতি আসরে আরও একবার কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলো জর্ডান। ওই ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিলো। সেই ম্যাচেও গোল করেছেন আল নাইমাত। এবার তিনি হলেন জয়ের নায়ক।
প্রথমার্ধেও জর্ডানের হয়ে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন আল নাইমাত। কোরিয়ার তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল নিয়ে যান তিনি। তবে গোলরক্ষকের সোজা শট নেওয়ায়ে সেটি গোল হয়নি।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৫৩ মিনিটে গোল করেন আল নাইমাত। মুসা তামারির অ্যাসিস্টে ডানপায়ের দুর্দান্ত শটে কোরিয়ার জাল কাঁপান তিনি। ৬৬ মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আগের গোলে অ্যাসিস্ট করা তামারি। তাকে অ্যাসিস্ট করেন আল নাইমাত।
দাপুটে ফুটবল খেলেই ফাইনালে উঠেছে জর্ডান। ম্যাচজুড়ে গতিময় ফুটবল, প্রেসিং, আক্রমণ ও আত্মবিশ্বাসী ফুটবলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তারা। অন্যদিকে আরও একবার হতাশা নিয়ে বিদায় নিতে হলো ১৯৬০ সালের পর এশিয়ান কাপ জিততে না পারা দক্ষিণ কোরিয়াকে।
কালের চিঠি/ ফাহিম
প্রকাশক ও সম্পাদক: বিমল কুমার সরকার নির্বাহী সম্পাদক: তাসলিমুল হাসান সিয়াম বার্তা সম্পাদক: শামসুর রহমান হৃদয়। সম্পাদকীয় কার্যালয়: তুলশীঘাট (সাদুল্লাপুর রোড), গাইবান্ধা সদর, গাইবান্ধা-৫৭০০
© All Rights Reserved © Kaler Chithi