বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূর্বণচরে সিঁধ কেটে ঢুকে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ

সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘরের সিঁধ কেটে ঢুকে মা ও শিশু মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের ঘর থেকে স্বর্ণের গয়না ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী। আর নির্যাতনের শিকার শিশুটি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী। তিনি মাঝে মাঝে ৩ থেকে চারদিনের জন্য দিনমজুরের কাজ করতে বাড়ির বাইরে যেতেন। এসময় সন্তানদের নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন ওই গৃহবধূ।

আরও জানা যায়, গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে ওই নারীর স্বামী বাইরে যান। তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুইজন ভেতরে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে দুইজন গৃহবধূকে এবং একজন তার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয়।

চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছায়। সকালে ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

কালের চিঠি / আলিফ

Tag :

সূর্বণচরে সিঁধ কেটে ঢুকে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ

Update Time : ১০:৩৮:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে ঘরের সিঁধ কেটে ঢুকে মা ও শিশু মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের ঘর থেকে স্বর্ণের গয়না ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী নারী তিন সন্তানের জননী। আর নির্যাতনের শিকার শিশুটি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী। তিনি মাঝে মাঝে ৩ থেকে চারদিনের জন্য দিনমজুরের কাজ করতে বাড়ির বাইরে যেতেন। এসময় সন্তানদের নিয়ে একাই বাড়িতে থাকতেন ওই গৃহবধূ।

আরও জানা যায়, গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে ওই নারীর স্বামী বাইরে যান। তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুইজন ভেতরে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে দুইজন গৃহবধূকে এবং একজন তার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয়।

চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছায়। সকালে ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

কালের চিঠি / আলিফ