২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে দেশটিতে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটছে
মিয়ানমারে সহিংস হামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে এ বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ৫২০ জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) মিয়ানমারের সরকারি সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, ৪৩৮ জন বেসামরিক ও ৭৯ জন সরকারি কর্মচারী।
এই সময়ের মধ্যে, ১১টি বৈদ্যুতিক ও যোগাযোগ টাওয়ার, ৯৭টি সেতু ও টোল গেট ভবন, ছয়টি স্বাস্থ্যসেবা ভবন, ১৩টি স্কুল ও শিক্ষা ভবন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ জুড়ে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে দেশটিতে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৬,৮৮০ জন নিহত হয়েছে।
জান্তা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে চলছে নিপীড়ন। সামরিক সরকার সংবাদমাধ্যমের সনদ প্রত্যাহার, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠিয়েছে।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের মতে, ২০২৩ সালে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয়-নিকৃষ্ট কারাগার ছিল মিয়ানমার। এক বছরে সেখানে কারাবন্দি হয়েছেন ৪৩ জন সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার সৈন্যদের মিয়ানমারের বৃহত্তম শহরের নির্জন রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। তিন বছরের মাথায় এসে জান্তা সরকার এখন ভীষণ চাপের মুখে। আপাতত তাদের লক্ষ্য অন্তত রাজধানী রক্ষা করা। তবে বিরোধীরা তাদের ধীরে ধীরে চারপাশ থেকে চেপে ধরেছে। ফলে মিয়ানমারের সামনে এখন রয়েছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
কালের চিঠি / আশিকুর