নিজস্ব প্রতিবেদক: ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে বর্ষ-পঞ্জিকা অনুযায়ী এখন হেমন্তকাল। এসময় ক্ষেত থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উত্তরের জেলা গাইবান্ধার আমন চাষিরা। নতুন ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততায় নবান্নের পিঠা-পায়েস তৈরির সময় করতে পারছেন না অনেকে। এ সুযোগে জেলা শহর থেকে গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বসেছে পিঠার মৌসুমি দোকান। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সরগরম থাকে এসব দোকান।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় শহরের ব্যস্ত সড়কের পাশে কিংবা গ্রামের হাট বাজারে পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী ও পেশার অসংখ্য মানুষ। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বেশ উৎসাহ নিয়ে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ভাপা, চিতই, পুলি, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠা বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানে। তবে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ভাপা আর ঝাল চিতই।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়া বাজারে বিক্রির মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ী সাইদুর ইসলাম জানান, ভাপা ৫ ও চিতই পিঠা প্রতি তিন পিস ১০ টাকা, পাটিসাপটা ও দুধচিতই ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তিনি। সব খরচ বাদ দিয়ে তার প্রতিদিনই ৫০০’ টাকা থেকে ৭০০’ টাকা লাভ থাকে তার।
গাইবান্ধা শহরের ট্রাফিক মোড়ের পিঠা ব্যবসায়ী আজিজার রহমান বলেন প্রতিবছর শীতের সময় পিঠার দোকান বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে বিক্রি করেন তারা। পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে তারা তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়েছেন।
পিঠা খেতে আসা আরিফুল ইসলাম জানান ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা তৈরি বাড়তি চাপ হয়। বাড়তি চাপ কমাতে তিনিও এসেছেন পিঠার দোকানে।
একই মন্তব্য করেছেন, পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া পিঠা ক্রেতা নিজামউদ্দীন । তিনি বলেন
পিঠা হলো ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। শীত আসলেই বিভিন্ন জায়গায় অলিগলিতে পিঠার দোকান বসে। পিঠার দোকানে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার ফাঁকে একসঙ্গে পিঠা উৎসবে মেতে উঠেন তারা। এভাবে একসঙ্গে পিঠা খেয়ে তারা অনেক আনন্দ উপভোগ করেন বলে জানান।