বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আ. লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুন্দর , উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে খেয়াল রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ছয় জেলায় ভার্চুয়ালি যোগ দেয়া নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা; ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় নির্বাচনী জনসভায় হয়।

ভার্চুয়াল এসব সভায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিএনপি সন্ত্রাসী, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।’

তিনি বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে। ওই সন্ত্রাসীদের দল; ওরা তো নির্বাচনে বিশ্বাসই করে না। দেশে তাদের দ্বারা কোনো কল্যাণ হবে না । সেই জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন করতে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নিবেন সবাই।

এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীকে দলের নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলো জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।

তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে বিএনপি। মা-শিশুকে এমনভাবে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।

মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে বলে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রাখুন যাতে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়। দলের নির্বাচনী ইশতেহার সব প্রার্থী পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন। অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে এবারের নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষ পোড়ানো আর নির্বাচন ধ্বংস করা।

সবশেষ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে পুনরায় সরকার গঠন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবে আওয়ামী লীগ।

Tag :
Popular Post

সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সাঘাটায় মানববন্ধন।

নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৯:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আ. লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুন্দর , উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে খেয়াল রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ছয় জেলায় ভার্চুয়ালি যোগ দেয়া নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা; ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় নির্বাচনী জনসভায় হয়।

ভার্চুয়াল এসব সভায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিএনপি সন্ত্রাসী, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।’

তিনি বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে। ওই সন্ত্রাসীদের দল; ওরা তো নির্বাচনে বিশ্বাসই করে না। দেশে তাদের দ্বারা কোনো কল্যাণ হবে না । সেই জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন করতে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নিবেন সবাই।

এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীকে দলের নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিলো জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।

তিনি বলেন, গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে বিএনপি। মা-শিশুকে এমনভাবে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।

মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে বলে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রাখুন যাতে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়। দলের নির্বাচনী ইশতেহার সব প্রার্থী পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন। অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে এবারের নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষ পোড়ানো আর নির্বাচন ধ্বংস করা।

সবশেষ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জনগণের সমর্থনে পুনরায় সরকার গঠন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবে আওয়ামী লীগ।